অভিবাসী কর্মীদের ধরকাপড় ও ভিসাপ্রক্রিয়ার জটিলতা নিরসনে ব্রিটেনের ব্যবসায়ী নেতারা সরকারকে সতর্ক করছেন। তারা বলেছেন, লন্ডনের অর্থনীতি স্বল্পমেয়াদি কর্মীর ভিসার ওপর নির্ভর করে। তারা ভিসা আবেদনপ্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত করতে চায়। লন্ডন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সতর্ক করেছে যে অভিবাসনের ওপর অতি উৎসাহী ক্র্যাকডাউন দেশটিতে নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। তারা লন্ডনের ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে এ সতর্কতা প্রকাশ করেছে।
চেম্বারের প্রধান নির্বাহী করিম ফাতেহি বলেছেন, লন্ডনের সাফল্য তার উন্মুক্ত সুযোগ ও বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে ব্যবসাগুলো প্রতিভা, দৃষ্টিভঙ্গি, অভিজ্ঞতা ও ভাষার একটি সমন্বয়। লন্ডনে কর্মসংস্থান সর্বাধিক করতে এবং অর্থনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা হ্রাস করার জন্য আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
লন্ডন যাতে একটি শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে তার অবস্থান বজায় রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে ব্যবসায়িক দক্ষতার সঙ্গে সহজ অভিবাসনের সুযোগ প্রদানের জন্য সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, এর জন্য বেশ কয়েকটি মূল শিল্প খাতে স্বল্পমেয়াদি কর্মী ভিসার বর্ধিত বিধান এবং ত্বরান্বিত ব্যবসায়িক ভিসা প্রক্রিয়া, সেই সঙ্গে একটি বৃহত্তর, দীর্ঘমেয়াদি অভিবাসন এবং দক্ষতা কৌশল বিকাশসহ একটি বিস্তৃত ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে। চেম্বারের সমীক্ষায় ২০২৪ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি এবং বিক্রয়ের অবস্থা সম্পর্কে ইতিবাচক আভাষ পাওয়া গেছে।
এদিকে চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস ৩০ অক্টোবর বাজেটে আরও ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং খরচ কমানোর বিষয়ে ‘কঠিন’ সিদ্ধান্তের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
গত মাসে লিভারপুলে লেবার পার্টির বার্ষিক সমাবেশে বক্তৃতা করে স্যার কিয়ার স্টারমার ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি গৃহকর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে বিদেশ থেকে আসা কর্মীদের ভিসায় দ্রুত ক্র্যাকডাউন দিয়ে তাদের বিপদে ফেলবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ব্যবসাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চান না।
মঙ্গলবারের সরকারি পরিসংখ্যান দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা সত্তরের দশকের গোড়ার দিকের তুলনায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এবার।