জনাব রুহুল কবীর রিজভী একজন শিক্ষিত লোক বলেই জানি। অবশ্য ল’ইয়ার কিনা আমার জানা নেই। আইন আপনি জানুন বা না জানুন, এ কথা সকলেই জানেন যে, মামলায় জামিন দেওয়া আদালতের একান্ত বখতিয়ার। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা ফ্যাসীবাদী চিন্তা। জনাব রিজভী মিছিল করে, বক্তব্য দিয়ে সাবের ও মান্নান সাহেবের জামিন নিয়ে কথা বলে নব্য গণতন্ত্রী বিএনপি-এর ভেতরের স্বৈরতন্ত্রের প্রকাশ ঘটালেন। একই সাথে তাঁরা যে আইনের শাসনে ‘আস্থাশীল নন, তাও দেশবাসীকে ও অন্তর্বর্তী সরকারকে তা জানিয়ে দিলেন।
২. পূজামণ্ডপে তথাকথিত ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করে এবং মোনাজাত পরিচালনা করে জামাতসহ কিছু তথাকথিত ইসলামপন্থী প্রমাণ দিল যে, তারা অন্তবর্তী সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতার তত্ত্বে বিশ্বাসী নয়। শুধু তাই নয়, ইসলামের প্রকৃত মর্মার্থ বিশ্লেষণে বলা যায় যে, তারা খাঁটি মুসলমানও নয়।
৩. দ্রব্যমূল্য আর ডেঙ্গুতে মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেখার কেউ নেই। আমাদের অনুরোধ যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছেন, এড়িয়ে যাবেন না। দায়িত্ব পালন করুন। অন্যথায় একদিন জবাব দিতে হবে।
৪. দ্য ডেইলি স্টার এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল মত ও পথ ব্যতীত অন্য কেউ মামলা মোকাদ্দমার মহোৎসব নিয়ে কোনো কথা বলছেন না। কেন? ভয়টা কিসের ? এখন তো ফ্যাসিবাদ নেই। তা হলে সত্য বলতে বাধা কোথায়? মেহেরবানী করে আইনের শাসনের পক্ষে কথা বলুন। সত্য বলুন। উপদেষ্টা মহোদয়গণ কথা বলুন। ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় জাতির কাছে একদিন জবাব দিতে হবে এবং আপনাদেরকেও বিচারের মুখোমুখী হতে হবে।
লেখক: রাষ্ট্র চিন্তক ও ইসলামি চিন্তাবিদ