মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন

আলমগীর এ. রউফ চৌধুরী

সম্পাদকীয়

১.ক. আমাদের অর্থনীতির অবস্থা খুবই নাজুক। এ কথা অর্থনীতিতে অজ্ঞ যাঁরা তাঁরাও বলবেন। এমনি এক অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দেওয়ার আদেশ হাইকোর্টের একটি আদালত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সরকারের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের ভাষায়- ‘এমন ট্যাক্স অব‍্যাহতির চিত্র আগে কখনো দেখিনি, এভাবে চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে আছে বলা যায়।’

খ. ৬৬৬ কোটি টাকার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া বিচারের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কোনো আইনগত ব্যাখ্যা ছাড়া এমনটি মেনে নেয়া যায় কি না; অভিজ্ঞ মহলে এই প্রশ্নটি থেকেই যাচ্ছে।

গ. ট্যাক্স হলিডে ২০২৯ পর্যন্ত আরও একটি সংগঠনকে দেওয়া হয়েছে। নামটি মনে পড়ছেনা। সম্ভবতঃ তথাকথিত ইসলামী ঘরানার (জামাতে ইসলামী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী) তথাকথিত- চ্যারিটেবল সংগঠন এটি।

২. ভিপি নূর নামে পরিচিত রাজনৈতিক নেতা সম্প্রতি সরকারের নিকট বিএনপি-জামাত-এর প্রভাবমুক্ত প্রশাসন দাবী করেছেন। আমরা তাঁর সাথে সম্পূর্ণ এক মত। বিগত সরকারের বিদায়ের পর বিএনপি-জামাত প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্রই যে দখলবাজি করেছে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বয়োবৃদ্ধ ও অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের এনে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে বসানো। এমনকি যে সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তদন্ত কমিটি হয়েছে উপদেষ্টাদের নিয়ে তাকে তো সরানো হয়ইনি, বরং আরও একটি আর্থিক কর্মকাণ্ড সম্বলিত সংস্থায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রচলিত বিধান হচ্ছে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে সরিয়ে দিয়ে তদন্ত করা। বিএনপি-জামাত এর কর্মকাণ্ডে মনে হয় তারা এখন ক্ষমতায় আছে।

৩. ছাত্র সমন্বয়কগণ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। কিন্তু উপদেষ্টা ছাড়া তারা তো কেউ জেলায় জেলায় প্রশাসনের প্রটোকল পেয়ে যাচ্ছে। কোন আইন বা বিধিতে জানতে পারি কি?

৪. আমরা অনুরোধ করব অন্তর্বর্তী সরকারকে যে, বিএনপি-জামাত-এর পাগলা ঘোড়া সামলান। আইন সম্মত নয়, বৈধ নয় এমন সব কাজ কাম থেকে দয়া করে বিরত থাকুন।

লেখক: রাষ্ট্র চিন্তক ও ইসলামি চিন্তাবিদ। 

শেয়ার করুন