১২ বছর আগে দিনাজপুরে এক শিবির কর্মী হত্যার ঘটনায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ ৩৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চিরিরবন্দর থানায় শনিবার মামলাটি করেন ওই শিবিরকর্মীর ভাই নাজমুস শাহাদাত। নিহত শিবিরকর্মী মোজাহিদুল ইসলাম (১৪) খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি বেশার পণ্ডিতপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করে। মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন আবুল হাসানের ভাই শামীম হাসান, খানসামা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আজম চৌধুরী, চিরিরবন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, শাফিয়ার রহমান, নুর ইসলাম, আহসানুল হক, আজিমউদ্দিন সরকার, মোসলেমউদ্দিন প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর হরতাল ও মিছিল কর্মসূচির আগের দিন সন্ধ্যায় হরতালের সমর্থনে রানীরবন্দর এলাকায় নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন মোজাহিদুল ইসলাম। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত ১২টায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।
মামলার সত্যতানিশ্চিত করে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, নিহত শিবিরকর্মী মোজাহিদুল ইসলামের বাবা খানসামা উপজেলা জামায়াতের আমির ছিলেন। মামলার বাদী নাজমুস শাহাদাত ইছামতি ডিগ্রি কলেজ শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের নামে বহু মামলা দেওয়া হয় বলে জানা যায়।