অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব নামের একটি দল। তাদের অভিযোগ, দেশে উগ্রবাদী সামাজিক–রাজনৈতিক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য অসহনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায় দলটি। সেখানে সমাবেশ করার পর দলটির নেতা–কর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অবরোধ করার জন্য রওনা হন। পুলিশ তাতে বাধা দিলে দলটির একটি প্রতিনিধিদল উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।
সমাবেশে ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা ও জনগণের নাগরিকত্ব হরণ করে বিগত সরকার। তাদের স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য তাদের জোট ছাড়া দল–মতনির্বিশেষে জনগণ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে এসেছে। বিগত জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার আন্দোলন স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তিকামী, গণতন্ত্রকামী সব মানুষের আন্দোলন ছিল। এ আন্দোলনে বিগত স্বৈরাচারের পতন হলেও জনগণের আন্দোলনের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় আমরা জনগণ আতঙ্কিত ও হতাশ হয়ে পড়েছি।
ইমাম হায়াত বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের নেতা অন্তর্ভুক্ত করায় সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়ে জঙ্গিবাদের পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকলাপ দেশকে জঙ্গিবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ জন্য আমরা রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
ইমাম হায়াত অন্তর্বর্তী সরকারকে পক্ষপাতদুষ্ট না হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মানবজীবন স্বীকার করলে রাষ্ট্র সবার, সব মানুষের এটি স্বীকার করতে হবে। সব মানুষের নিরাপত্তা-অধিকার-স্বাধীনতাভিত্তিক মানবতার রাষ্ট্র স্বীকার করতে হবে।
ইমাম হায়াত বলেন, ধর্ম রাষ্ট্রক্ষমতার বলে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। ধর্ম চাপমুক্ত পরিবেশে জ্ঞানগত হৃদয়ের স্বাধীন জ্ঞানগত উপলব্ধির বিষয়। যারা একক ধর্মরাষ্ট্রের রাজনীতি করে, তারা ধর্মের শত্রু।