গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। মধ্য গাজার ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গাজার হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় একটি পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে।
উত্তর গাজায় একটি রাস্তার কিনারে খেলার সময় ড্রোন হামলার ঘটনায় পাঁচ শিশু নিহত হয়েছে। এক বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেছেন, গাজার আশেপাশের শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আল-মুফতি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলি হামলায় সেখানে কমপক্ষে ৫০ জন আহত এবং এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় সবচেয়ে বেশি সংঘাতের খবর আসছে উত্তরাঞ্চলে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী একটি বড় স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আক্রমণ জোরদার করছে। ইতোমধ্যেই সেখানে কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
বেইত হানুন, জাবালিয়া এবং বেইত লাহিয়ার বাসিন্দারা গাজা সিটির কাছাকাছি এলাকা থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহরের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দেখা গেছে।
সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, রেড ক্রসের সঙ্গে একটি যৌথ অভিযানের মাধ্যমে তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে ইসরায়েলে সামরিক বাহিনীর একটি ক্যাম্পে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে চারজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৬০ জনের বেশি। আহতদের মধ্যে সাতজন সেনা সদস্য রয়েছে।
ইসরায়েলের দক্ষিণে হাইফার বেনইয়ামিনা এলাকায় গোলানি ব্রিগেড ক্যাম্পের প্রশিক্ষণ শিবিরে এই হামলা চালানো হয়। লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবানন এবং বৈরুতে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ড্রোন হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে, হামলায় ৬১ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।