পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তথ্য বিবরণী দিয়ে (প্রেস রিলিজ) জানানো হয়েছে যে, ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী বাঁধা বিপত্তি প্রদানের অভিযোগে গত ১৩ দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩১৯৫ জনকে। তারা যা বলেন নি তা হচ্ছে- এই হিসেবের মধ্যে কতজন এফ আই আর নাম্মীয় এবং কতজন এফ আই আর নাম্মীয় নয়। এবং এই তালিকায় গুলি, লাঠিচার্জ, ইত্যাকার মাধ্যমে বাধা দেওয়া আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য কতজন? কেননা এদের ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ। যদ্দুর জানা যায়, মাঠ পর্যায়ে বলপ্রয়োগ করা আইন-শৃংখলা বাহিনীর কোনো সদস্য গ্রেপ্তার হননি/করা হয়নি। পুলিশ অধিদপ্তর বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বললে ভাল হয়। আর আমরা জোর দিয়ে বলতে পারি যে, গ্রেপ্তারকৃতদের ৯০ ভাগ ব্যক্তিগণ (মহিলাসহ) আন্দোলনের সময়ে কোনো প্রকার বাধা প্রদানে অংশ নেননি। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপি-জামাত এর তালিকা ধরে নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং থানাওয়ালাদের বাণিজ্যিক সুবিধা অর্জনের জন্য (সুত্র: দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ মাধ্যম)
খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে এই যে, ধর্মীয় সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে যারা অধর্মীয় কাজকর্ম করে যাচ্ছেন (যেমন পূজামণ্ডপে তথাকথিত ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন, মোনাজাত পরিচালনা ইত্যাদি) তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের তৎপরতা অনেকটা নেই বললেই চলে। অবাক পৃথিবী, কি বিচিত্র অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ বাহিনী!
লেখক: রাষ্ট্র চিন্তক ও ইসলামি চিন্তাবিদ