রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগের পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা পরীক্ষা দিতে এলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে পরীক্ষায় বসবেন না বলে জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তাঁদের নগরের মতিহার থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার দুই নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরিন আরিয়ানা এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও আইবিএ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত রায়হান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত রায়হান শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। আর ছাত্রলীগ নেত্রী আলফি শাহরিন আরিয়ানা আন্দোলনরত ছাত্রীদের তালিকা করে শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠিয়ে নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, গতকাল ছাত্রলীগের ওই দুজন পরীক্ষা দিতে এলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে পরীক্ষায় বসবেন না বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে যাতে ‘মব জাস্টিস’ না হয়, সে জন্য তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ জানায়, তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের এক নেতা ও এক নেত্রীকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা মামলায় আজ দুপুরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।