ডক্টর ইউনুস সরকার—দুষ্ট লোকেরা ইউনুসকে নতুনরূপে খন্দকার মোশতাক বলে থাকে। বাংলা ভাষায় প্রচলিত একটি প্রবাদ হয়তো জানেনা—‘এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে। এই দিন নিয়ে যাবে সেই দিনের কাছে।’ প্রবাদটি সকলেরই মনে থাকলে ভাল হয়। হাসিনা সরকারের এটি মনে ছিল না। মনে ছিল না স্বৈরাচারী জিয়া-এরশাদের। অতীতের স্বৈরশাসকদের তো কিয়দাংশ হলেও জনভিত্তি ছিল। নব্য মোশতাকদের কিন্তু সশস্ত্রবাহিনী ব্যতীত কোনো সাপোর্ট বেইজ নেই।
২. কথায় আছে—‘ছাগলে কি না খায়, আর পাগলে কি না বলে।’ জাতির পিতা, বাংলাদেশ সৃষ্টিতে শেখ মুজিবের ভূমিকা, জাতীয দিবস ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস অথবা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস নিয়ে বাজারে কথাবার্তায় বা মোশতাকী ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের মাঝে এমনি কথাবার্তা চালু হয়েছে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারায় দাড় করাতে সচেষ্ট সরকারি মহল এবং জামাতি মহলের মনে রাখতে হবে যে, অনেক কিছুই খাতা কলমে করা সম্ভব হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন পাওয়া যাবে না। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নব্য মোশতাকেরা ক্ষমতায় এসেছে তার যৎ সামান্যও যদি সত্য হয় তবে তারা দেখতে পারে যে তাদের পায়ের নীচের মাটি দ্রুতই সরে যাচ্ছে। এ জন্যই তারা চায় না যে আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে থাকুক।
এলডিপি নামে একটি দল আছে, নির্বাচনে যারা ২টি আসনও পাবে কি না সন্দেহ তারাও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ চায়। যে অভিধায়ই চিহ্নিত করা হোক না কেন, জনগণের মাঝে আওয়ামী লীগের অবস্থান সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ও একটি দেশপ্রেমিক জনদরদী রাজনৈতিক দল। এটা ঠিক যে, এই দলের বিগত সরকারটি অনেকাংশেই কর্তৃত্ববাদী ছিল।
৩. বিদেশে অবস্থানরত জয়, পুতুল এবং একজন নির্বিরোধী শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালকে ফৌজদারী অপরাধে আসামী করা থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি) এর নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। অথচ তাজুল ইসলাম যে ভাবে কথা বলেন মনে হয় যেন ফিরিশতা কথা বলছেন। আইসিটিতে যে প্রহসনের বিচারের আয়োজন করা হচ্ছে সহজেই তা বোধগম্য। এই সব ইসলামপন্থীরা (তাজুল ইসলাম এবি পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন) রসূল (দঃ) এর ইসলামে বিশ্বাসী নয়। কেননা ইসলামে বিশ্বাসীরা মক্কা বিজয়ের পর আল্লাহর রসূল (দঃ) মক্কাবাসীর সাথে যে ধরনের আচরণ করেছিলেন, সে ধরনের আচরণে বিশ্বাস করেন।
লেখক: রাষ্ট্র চিন্তক ও ইসলামি চিন্তাবিদ।
তারিখ: ১৯/১০/২০২৪