ছাত্র হত্যা মামলায় ব্যারিস্টার সুমন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ফাইল ছবি

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর মডেল থানা ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেয়ার কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে আপাতত পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।

সোমবার (২২ অক্টোবর) রাতে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ রাতে ঢাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনের সময় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কারণে সেখানে আসামি রাখার মতো জায়গা নেই। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।

এর আগে রাত ১টা ২১ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

ওই ভিডিও বার্তার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, প্রথমেই জানাতে চাই আমি দেশেই রয়েছি। ঢাকা শহরেই আছি। ৫ আগস্টের পর আমি কোথাও যায়নি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে আমি গোপনে ছিলাম।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে তুমি বিদেশে চলে যাও। কিন্তু আমি যায়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি কোনো দিন দুর্নীতি করিনি। ঢাকা শহরে আমার কোনো প্লট ও ফ্লাট নেই। তারপরও কেন আমি দেশ ছেরে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। যেহেতু আমি আইনজীবী, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে।

সুমন কোটাবিরোধী আন্দোলনের শুরুর দিকে ছাত্রদের পক্ষে কথা বললেও শেখ হাসিনার পতনে ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন শুরু হলে তিনি এর বিরোধীতা করেন।

বিগত কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর অসঙ্গতি তুলে ধরে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। এক সময়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগে পদ পেলেও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে থানার ওসির দলীয় স্লোগান দেওয়ার সমালোচনা করে পদ হারান তিনি।

গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও তা পাননি সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত এই আইনজীবী। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে হবিগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচিত হন তিনি। ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্মগোপনে চলে যান।

শেয়ার করুন