বলা হয়ে থাকে, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রতিপক্ষের জন্য অনেক সময়। মানে হলো- আগে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে নিলেও রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ থেকে জয় নেওয়া অত সহজ নয় প্রতিপক্ষের জন্য। যেমন, বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বশেষ ম্যাচে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে গিয়েও ৫-২ ব্যবধানে জিতেছিল রিয়াল। এভাবে কামব্যাক করার হাজারো গল্প আছে রিয়ালের। কিন্তু শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দেখা গেল উল্টো চিত্র। এ যেন রিয়ালের জন্যই অনেক সময় হয়ে দাঁড়ালো; সময় যেন শেষই হচ্ছে না। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় একের পর এক গোল উৎসব করেই যাচ্ছিল বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সা।
শনিবার রাতে সবগুলো গোলই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে করে বার্সা। ৬৫ বছর পর এল ক্লাসিকোর অ্যাওয়ে ম্যাচের এক অর্ধে ৪ গোল হলো। এর আগে ১৯৫৯ সালে এক অর্ধে ৪ গোল করেছিল বার্সাই। ওই ম্যাচও হয়েছিল বার্নাব্যুতে এবং গোলও হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে সাজানো গোছানো খেলাই খেলেছিল রিয়াল। দুইবার বার্সার খুঁজেও বের করেছিলেন প্রথমবার ক্লাসিকো খেলতে নামা কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বার্সার অফসাইড ফাঁদে দুটি গোলই বাতিল হয়ে যায় ফরাসি তারকার। প্রথমার্ধে মোট পাঁচবার অফসাইডের ফাঁদে পড়েন এমবাপে।
ম্যাচের ২১ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ মিস করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। গোলশূন্য সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
৫৪ মিনিটে প্রথম গোল হজমের বার্নাব্যুতে রিয়ালের সময় লম্বা হতে থাকে। বার্সার তরুণ তারকা মার্ক কাসাদাওয়ের পাসে গোল করেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। ৩ মিনিট পর দুর্দান্ত হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করে রিয়ালের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন পোল্যান্ড ফরোয়ার্ড। এতে ২-০ তে এগিয়ে যায় বার্সা।
৭৭ মিনিটে লামিন ইয়ামাল ও ৮৪ মিনিটে রিয়ালের কফিনে সর্বশেষ পেরেক ঠুকে দেন রাফিনহা।
এর আগে টানা ৪ ক্লাসিকোয় জিতেছিল রিয়াল। কিন্তু এবার বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হলো কার্লো আনচেলত্তির দল।
বার্নাব্যুতে শনিবার রাত স্মরণীয় হয়ে থাকবে বার্সার কোচ হানসি ফ্লিকের। প্রথম ক্লাসিকোয় দলকে দুর্দান্ত জয় এনে দিলেন এই জার্মান কোচ।
১১ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে বার্সা। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল।