ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রশাসন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী।
জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেরোবির গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডলসহ সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। ওই দুই শিক্ষক আবু সাঈদ হত্যা মামলায় এজহারনামীয় আসামি।
উপাচার্য বলেন, ‘দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা কর্মচারী ও ৭২ শিক্ষার্থীর নামে থানায় মামলা করার বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা পলাতক রয়েছেন তাদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।’
সিন্ডিকেট সভার সদস্য রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন বেরোবি উপাচার্য। দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিষ্টি বিতরণ করেছেন।