রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বড় অংশ মাঝরাতে হঠাৎ করে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে; বাসার ভেতরে ধোঁয়ার কারণে চোখ জ্বালাপোড়া করছে। বারান্দায় বা ছাদে গেলে নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে অনেকের। বাসিন্দাদের অনেকে ধোঁয়া থেকে ‘বারুদের মত’ গন্ধ পাচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারছেন না।
সোমবার রাত পৌনে ১২টা থেকে মোহাম্মদপুরের বিশাল এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত সদস্যরা এ নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছেন। তবে রাত দেড়টাতেও এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারছেন না। তারাও এর উৎস নিয়ে কূলকিনারা করতে পারছেন না।
এক বাসিন্দা বলেন, গন্ধটি অনেকটা টিয়ারসেলের গন্ধ বলে মনে হচ্ছে। ঘরের মধ্যে ধোঁয়া ঢোকার পর অনেকে বের হয়ে এর কারণ খুঁজতে বারান্দা বা ছাদে গিয়ে আরও ধোঁয়ার মধ্যে পড়েছেন। অনেকে সড়কেও নেমেছেন। তবে আশপাশ ঘুরে এর উৎস খুঁজে পাননি।
এতে করে এ নিয়ে কৌতুহল ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক পোস্ট আসছে এ নিয়ে।
লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, জাপান গার্ডেন সিটি, বাঁশবাড়ি, আদাবর, রায়ের বাজারসহ পুরো এলাকা থেকে অভিযোগ আসছে বলে ফায়ার ফাইটার আরিফ জানান।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত হাফিজুর রহমান বলেন, তাদের কাছেও ফোন আসছে। কিন্তু ধোঁয়ার কোনো সূত্রই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কেউ বলতেও পারছেন না। আমরা বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।
ফেইসবুকে সাইফ আল মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, কাটাসুর থেকে নিয়ে বাঁশবাড়ি, নুরজাহান রোড, চান মিয়া হাউজিং, মোহাম্মদী হাউজিং লিমিটেড, জাপান গার্ডেন সিটি, তাজমহল রোড, শেখেরটেক পর্যন্ত ধুঁয়ায় ভরে গেছে। সেই ধুঁয়ার এক ধরনের বিশ্রী গন্ধ ছেয়ে গেছে। চাঁদ উদ্যানে এই গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। চোখ জ্বালা করতেছে। পুরো এলাকায় চক্কর দিয়ে উৎস খুঁজে পেলাম না। কারণটা কি কেউ বলতে পারেন!
শরিফুল মির্জা মান্না নামে আরেকজন লিখেছেন, “সারা মোহাম্মদপুরে জুড়ে ঝাঁঝালো ধোঁয়া। কেউ কি কিছু জানেন?
আবিদ হাসান নামে একজন লিখেছেন শেখেরটেক, শিয়া মসজিদ এলাকায় আকাশে ধোঁয়া ও বারুদের গন্ধ। আশেপাশের সব এলাকা ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে।
ফেইসবুকের এসব স্ট্যাটাসের মন্তব্যের জায়গায় কেউ কেউ ময়লা পোড়ানো, তিতাস গ্যাস লিক, পরিত্যক্ত কোনো গোলাবারুদ পোড়ানো থেকে ধোঁয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন।
রাত দেড়টার দিকে ধোঁয়া একটু কমে এলেও চোখ জ্বালাপোড়া ছিল।
মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মাসুদ রানা বলেন,প্রচুর ফোন আসায় আমরা এবং তিতাস গ্যাস এবং পুলিশের সাথেও কথা বলেছি। কারও কাছ থেকে আমরা কোনো ধরনের তথ্য পায়নি।
পুলিশের কাছে পলিথিন বা টায়ার পোড়ানোর কোনো তথ্য নেই বলেও জানান তিনি।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, রাজধানীর কোথাও গ্যাস লিকেজের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।