বিএনপির কর্মী হত্যার মিথ্যা অভিযোগে ৫ দিনের রিমান্ডে মত ও পথ সম্পাদক মোকতাদির চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলি করে বিএনপির কর্মী মকবুলকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার মত ও পথ সম্পাদক এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

অপর দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এদিকে মোকতাদিরর চৌধুরীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন নেটিজনরা। সারোয়ার আলম নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, একজন সজ্জন রাজনীতিবিদ, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে টানা চারবার বিজয়ী হওয়া সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি ১৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সমাধানের পক্ষেও জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁর মতো একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের ৫ দিনের রিমান্ড প্রমাণ করে দেশে ন্যায় বিচার বলতে কিছু নেই। আমরা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি চাই এবং অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখল করা অবৈধ ইউনূস সরকারের দুঃশাসনের অবসান চাই।

শেয়ার করুন