আজ ৩ নভেম্বর, জেল হত্যা দিবস। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে। প্রতি বছর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এলেও এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দিবসটি হাজির হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচি পালনের মতো অবস্থা নেই। জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচির তথ্যও পাওয়া যায়নি।
তবে গতকাল দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার একটি বিবৃতি দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়েছে।
এতে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বরাবরই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার হামলা করেছে। কিন্তু দিনশেষে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকবে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। জাতীয় ৪ নেতার জীবন ও কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এটাই উৎকৃষ্ট পন্থা।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজকের অবরুদ্ধ বাংলাদেশ কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পরিণত হয়েছে, যেখানে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই, শোক পালনের অধিকার নেই। পঁচাত্তরের পরেও কুচক্রীমহল একই পরিবেশ তৈরি করেছিল। আজ প্রশ্ন জাগে, মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিল? ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হলো, সময়ের পরিক্রমায় একদিন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের চেতনা চির জাগরূক থাকবে এবং জাতীয় ৪ নেতার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।