সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং মত ও পথ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
“মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করো, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করো। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেপ্তার শিক্ষাঙ্গনের আলোকবর্তিকা, চব্বিশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে জোরালো কণ্ঠস্বর, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী-এর নিঃশর্ত মুক্তি চাই। অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।”-লেখা সম্বলিত ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নিজ গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজ, চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়, নিকটস্থ চাপুইর আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, বাসুদেব উচ্চ বিদ্যালয় ও সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে সুলতানপুর-চিনাইর-আখাউড়া মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগরের শিক্ষার উন্নয়নে মোকতাদির চৌধুরী নানামুখী উন্নয়ন করেছেন। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দক্ষিণাঞ্চলে শিক্ষাঙ্গনের আলোকবর্তিকা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার হাত ধরে চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তিনি চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়, বাসুদেব উচ্চ বিদ্যালয়, চান্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চাপুইর আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থী বান্ধব করে গড়ে তুলেছেন।
তারা বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তাছাড়া তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, অসংখ্য মাদ্রাসার ব্যপক উন্নয়ন করেছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শিক্ষাবন্ধু উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে উঠেছিল নিরাপদ জনপদ। তার অবর্তমানে আবারও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও ইভটিজাররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমরা তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তাঁকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আগামীতে আরও বড় কর্মসূচি পালন করব।
এসময় “মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, রবিউল ভাইয়ের মুক্তি চাই। দুর্দিনের রবিউল ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই। শিক্ষাবন্ধু রবিউল ভাই, আমরা তোময় ভুলি নাই।”-বলে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার এজাহারে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নাম থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।