প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেছেন কমলা হ্যারিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কমলা হ্যারিস। ফাইল ছবি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিধস জয়ের পর পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন ডেমোক্রেট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। পাশাপাশি দেশকে নিয়ে ডেমোক্রেটদের যে স্বপ্ন রয়েছে তার জন্য লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা।

এতে বলা হয়, ডেমোক্রেটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন এই লড়াই ‘নির্বাচনী বুথে, আদালতে এবং জনগণের চত্বরে’ চলতে থাকবে।

তিনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন এবং যেখানে তিনি আশা করেছিলেন তার বিজয়ের ভাষণ দেবেন সেই হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন , ‘কখনো কখনো লড়াইয়ে সময় লাগে। তার অর্থ এ নয় যে, আমরা জয়লাভ করবো না’।

হ্যারিসের এই পরিষ্কার পরাজয় এমন আশাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পূণর্নির্বাচনের প্রচেষ্টা থেমে যাওয়ার পর তিনি যখন নিজেকে এই শীর্ষ পদের প্রার্থী করেন তখন মনে করা হয়েছিল যে, তিনি ডেমোক্রেটদের রক্ষা করবেন।

তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রতিটি রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের তুলনায় পিছিয়ে ছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে দেশের মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বিরাজমান বিপদ বলে বর্ণনা করেন। তবে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের পদের জন্য তার তিনটি নির্বাচনী প্রচার অভিযানে এই প্রথম জনগণের প্রদত্ত প্রত্যক্ষ ভোটেও এগিয়ে ছিলেন– তার বিরুদ্ধে দুটি অভিশংসন, গুরুতর অপরাধ এবং এর আগের নির্বাচনে তার পরাজয়ের ফল পাল্টানোর প্রচেষ্টার জন্য তিনি অভিযুক্ত।

ট্রাম্প সম্পর্কে কমলার কড়া সতর্কতা সত্ত্বেও, বুধবারের বক্তব্যে তিনি ছিলেন আশাবাদী। তিনি তার সমর্থকদের বলেন, ‘দুঃখ পাওয়া এবং হতাশ হওয়াতো হতেই পারে কিন্তু অনুগ্রহ করে জানবেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে’। এই সময়ে তার সমর্থকদের কেউ কেউ অশ্রু মুছছিলেন।

কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী টিম ওয়ালজ তার পরিবারসহ দর্শকদের মাঝে ছিলেন। তা ছাড়া হাউসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলসি এবং বারবারা লী, যারা উভয়ই হ্যারিসের নিজের রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। তার ভাষণের আগে ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য তিনি ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। তিনি সমবেত দর্শকদের বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবো’।

বাইডেন নির্বাচনের ফলাফল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবেন বলে কথা আছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে বুধবার তিনি হ্যারিস ও ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে তিনি তার সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন।

শেয়ার করুন