গাজায় এবং লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত হয়েছে। অপরদিকে লেবাননে নিহত হয়েছে ৩১ জন। দখলদার সেনাদের হামলায় লেবাননে ছয় উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
কাতার বলছে, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সংঘর্ষে লিপ্ত পক্ষগুলো নিষ্ঠুর এই যুদ্ধের অবসানে সদিচ্ছা ও গুরুত্ব না দেখাবে ততক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৩ হাজার ৫৫২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৫ জন।
অপরদিকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর লেবাননেও সংঘাত শুরু হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৩৬ জন নিহত এবং আরও ১৩ হাজার ৯৭৯ জন আহত হয়েছে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি বলেছেন, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষতিকর প্রভাব শুধু পশ্চিম এশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই বিষয়টি বিশ্বের জানা উচিত।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অনিরাপত্তা ও অস্থিতিশীলতা অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি তার চেয়েও বেশি দূরে যেতে পারে এর ক্ষতিকর প্রভাব।
মধ্যপ্রাচ্যে এরই মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ গাজার মতোই লেবাননেও একইভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
তাছাড়া ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যেও এরই মধ্যে কয়েক দফায় সরাসরি হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের একটি সিস্টেম্যাটিক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি এবং এ ঘটনায় যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।