ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পিটুনির শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে আটকের পর সিরাজগঞ্জের একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার বিকালে তাকে ঢাকা থেকে আনার পর সিরাজগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল ইসলাম।
কারাগারে যাওয়া আব্দুর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।
এর আগে রোববার বেলা ১২টার দিকে ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আব্দুর রহমান ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে পিটুনির শিকার হন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পরে ৪ অগাস্ট সিরাজগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এর আগে পল্টন থানার ওসি কাজী নাসিরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া কিছু লোককে ছাত্র-জনতা ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে সিরাজগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
হামলার বিষয়ে আব্দুর রহমানের স্ত্রী আইনজীবী জেবুন্নেছা জেবা রহমান জানান, তার স্বামী বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন তিনি।
দলের প্রবীণ এই নেতার ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ।
রোববার রাতে দলটির সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আব্দুর রহমানের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে।