ইনজুরি সময়ে বদলি পাপন সিংয়ের গোলে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে বছরের শেষ ম্যাচটি উৎসবে মাতালো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ইনজুরি সময়ে পাপন সিং গোলটি করেছেন। সোহেল রানার বদলি হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন আবাহনীর এই মিডফিল্ডার।
দর্শক যখন ধরেই নিয়েছিল ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হতে চলছে, ঠিক তখন পাপন গোল করে গ্যালারি মাতিয়ে দেন। মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-১ ম্যাচে সিরিজ ড্র করে ইজ্জ্ত রক্ষা হলো লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
বুধবার মালদ্বীপ জিতেছিল ১-০ গোলে। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশে এসে জয় পেয়েছিল। এবার সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত আর পারেনি।
সিরিজের দুই ম্যাচেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ হেরেছে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। রাকিব, মোরসালিন, ফাহিমরা ভুরিভুরি সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি। এই ম্যাচে বাংলাদেশকে হার চোখ রাঙিয়েছিল ২৩ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর। যে গোলটি হয়েছিল বাংলাদেশের তিন ডিফেন্ডার রিদয়, তপু আর সাদ উদ্দিনের ব্যর্থতায়।
পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে বিরতির আগেই ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন মজিবর রহমান জনি। ফাহিমের পাস থেকে পাওয়া বলে কোনাকুনি শটে দুর্দান্ত এক গোল করে।
বিরতির পর বাংলাদেশ আক্রমণ বাড়িয়ে দিয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হলেও কাঙ্খিত গোল আর পাচ্ছিল না। মোরসালিন, বদলি নোভা সহজ সহজ গোলের সুযোগ মিস করায় দর্শকের মাথায় হাত উঠেছে বারবার।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিবিরে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন মিডফিল্ডার পাপন সিং। আরেক বদলি চন্দন রায় ডান দিক থেকে ক্রস নিলে চলন্ত বলে পা চালিয়ে দেন পাপন সিং। বল কাঁপিয়ে দেয় মালদ্বীপের জাল। সাথে সাথে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে।
বাংলাদেশ এ বছর শুরু করেছিল দুটি আন-অফিসিয়াল প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। মার্চে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে গিয়ে আফ্রিকার দেশ সুদানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে প্রথমটি গোলশূন্য ড্র করে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছিল ৩-০ গোলে।
এরপর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চারটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরে ভুটান গিয়ে এক ম্যাচ হেরে আরেক ম্যাচ জিতে দেশে ফেরার পর ঘরের মাঠে মালদ্বীপের বিপক্ষে এই সিরিজ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। বছরের শেষ ম্যাচটি জিতে সমর্থকদের আনন্দে ভাসালো রাকিব-জনি-পাপনরা।