ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকা রণক্ষেত্র হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালটির পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন– শাহরিয়ার (২১), নূর হোসেন (২৪), মো. তুষার (১৮), অনিম (২১), সিজান (১৮), রিফাত (২১), আরাফাত (২১), নিরব (২১), শরিফ (২১), ইয়াকুব (১৮), মেহেদী হাসান (২১), আল ইমরান (১৮), তানভীর (১৮), সুজন (১৮), আরিফ (১৭), মহিউদ্দিন (২৩), তারেক (৩২), তাহসিন (১৮), ফয়সাল (১৮), তরিকুল ইসলাম রাজীব (২৫), মো. আলী (১৭), হাসান (১৮), ইসমাইল (১৮), ফাইয়াদ (১৮), মাহির (১৭), সাকিন (১৮), তানভীর (১৮), তামিম (১৮), তাসফিকুর রহমান (১৭), আশিক (১৮), রাজ (১৮) ও মেহেদী (১৮)।
মো. ফারুক জানান, ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষে আহত অনেক শিক্ষার্থী ঢামেক হাসপাতালে এসেছেন। কেউ কেউ চিকিৎসাসেবা নিয়ে চলে গেছেন। কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে, বুধবার বেলা ৩টার পর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ থামাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ আসে। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল মেরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইলিয়াস ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছেন। অন্যদিকে সিটি কলেজের ভেতরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছেন সেনাবাহিনী।
জানা যায়, ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও পরবর্তীতে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে বিকাল ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের ফলে পুরো এলাকা জুড়ে বন্ধ হয়ে যায় যায় চলাচল, সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজটের। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসেন।