সময় গড়ানোর সঙ্গে জটিল হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। যুদ্ধটা মূলত ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে হলেও এতে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশ। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ‘বৈশ্বিক’ এক যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য দেখতে পাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, দরকার হলে পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালাতে পিছপা হবেন না তিনি।
পশ্চিমাদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গত মঙ্গল ও বুধবার রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। তার পাল্টায় বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নিপ্রো এলাকায় নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রথমে একে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) মনে করা হলেও পরে মস্কো জানিয়েছে, সেটি নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রও আইসিবিএমের মতো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে বলে জানিয়েছেন পুতিন। আসন্ন শীত মৌসুমকে সামনে রেখে সপ্তাহ দুয়েক ধরে ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। যুদ্ধে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলেও বড় অগ্রগতি পাচ্ছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন করে তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাতের ধরন বদলাবে না কিংবা কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া থেকে ন্যাটোও পিছু হটবে না। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মুখপাত্র ফারাহ দাখলাল্লাহ একথা বলেছেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া মধ্যবর্তী পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ নাগরিক এবং ইউক্রেনের মিত্রদের ভীত-সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছে। তবে ন্যাটো মিত্ররাও ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া থেকে পিছুপা হবে না। ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান ভেলারি ঝালুঝনি দাবি করেছেন, বিশ্বে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তাঁর মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ান মিত্রদের সরাসরি যোগ দেওয়ার বিষয়টি তাই নির্দেশ করছে।
এদিকে রাশিয়া গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল উত্তর কোরিয়াকে সরবরাহ করেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা গোষ্ঠী ‘ওপেন সোর্স সেন্টারের’স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও সিএনএনের।