পাকিস্তানের গোলযোগপূর্ণ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের গুলিতে ৬ নারীসহ অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ জন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এ হামলা হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অঞ্চলে বহু মানুষ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। সর্বশেষ হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আজমত আলী জানান, একটি গাড়িবহরে করে পারাচিনার শহর থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে যাওয়ার পথে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে অন্তত ১০ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেছেন, হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। শেহবাজ বলেছেন, নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পেছনে যারা রয়েছে তারা ছাড় পাবে না।
৩৫ বছর বয়সী মীর হুসেইন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি চারজন বন্দুকধারীকে একটি গাড়ি থেকে বের হয়ে বাস ও গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখেছেন। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গুলি চলে। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
নিহতদ একজনের আত্মীয় ইবনে আলী বাঙ্গাশ এই হামলাকে ‘কুররামের ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখের দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের ৪০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। এটা সরকারের জন্য লজ্জাজনক বিষয়।