পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের ডাকা বাঁচা-মরার বিক্ষোভ আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাকিস্তান সরকার এই বিক্ষোভ ঠেকাতে ইতোমধ্যে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। এ নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জিও নিউজের লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ দমাতে ইতোমধ্যে ইসলামাবাদ পুলিশ বিভিন্ন গেস্ট হাউস, হোস্টেলে অভিযান চালিয়েছে। এসব জায়গা থেকে পিটিআইয়ের সমর্থক-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
করাচি কোম্পানির সীমানা থেকে ৭০ জন, কোশার পুলিশ সীমানা থেকে ৬০ জন, বারাকাহু থেকে ২০ জন এবং রমনা পুলিশ স্টেশনের সীমানা থেকে ইমরানের দলের ২৪ জন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে হাজতে নেওয়া হয়েছে।
তারনল পুলিশ স্টেশন সীমানা থেকে ৪০ জন, লহি ভাইর পুলিশ স্টেশন সীমানা থেকে আরও ৪৫ জন পিটিআই’র কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। এছাড়া ইসলামাবাদের দিকে যাওয়া পিটিআইয়ের বিভিন্ন কনভয় আটকে দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের ডাকা এই বিক্ষোভ রুখে দিতে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ইসলামাবাদের আইজি সতর্ক করেছেন যে, কেউ আইনশৃঙ্খলা এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঞ্জাবেও তিনদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, বিক্ষোভের জেরে ইসলামাবাদজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদের প্রধানপ্রধান সড়কগুলো ঘিরে রাখা হয়েছে এবং রেড জোনে যাওয়ার দিকে রাস্তাগুলো ব্লক করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহরজুড়ে বিভিন্ন কনটেইনার রাখা হয়েছে। শ্রীনগর হাইওয়ে থেকে শুরু করে জিটি রোড, এক্সপ্রেসওয়েতে কনটেইনার রাখা হয়েছে। ডি-চৌক, ইসলামাবাদ বিমানবন্দর, এ-১১ পয়েন্টে প্রবেশাধিকার কমানো হয়েছে।
এলাকাগুলোতে নজরদারিতে দিতে রেঞ্জার, পুলিশ ও ফ্রন্টিয়ার কন্সটাবুলারি মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের বেআইনি বিক্ষোভ রুখে দেওয়ার সতর্ক বার্তা দিয়েছে ফেডারেল সরকার।
করাচি পুলিশ তাদের সকল কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুলতানে তিন শতাধিক পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেছেন, ইসলামাবাদে কেউ এলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে পিটিআই’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা যেকোনো ভাবেই হোক বিক্ষোভ করবেন এবং ইমরান খানকে জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে।