ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে দুই ফিফটি। তৃতীয় টেস্টে এসে এমন এক ইনিংস খেললেন জাকের আলী, যা কিনা তাকে অনেক বছর মনে করাবে!
চাপের মুখে লোয়ার অর্ডারদের নিয়েও যে এভাবে লড়াই করা যায়, ২৬ বছরের জাকের সেটি দেখিয়ে দিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। মাত্র ৯ রানের জন্য প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটা পেলেন না।
চার-ছক্কায় খুব দ্রুতই সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভরসা করার মতো সঙ্গী যে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগটাই নিলো ক্যারিবীয়রা। আলজেরি জোসেফের বলে পুল খেলে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়লেন জাকের।
১০৬ বলে ৮ চার আর ৫ ছক্কায় জাকেরের ৯১ রানের লড়াকু ইনিংসটির সমাপ্তি তাতেই। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হলো ২৬৮ রানে। জ্যামাইকা টেস্টে জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২৮৭।
প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ক্যারিবীয়দের ১৪৬ রানেই গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে বেশ প্রতিরোধ গড়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ফলে লিড পেয়েছে বেশ চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো।
৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। জাকের আলি ২৯ আর তাইজুল ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। সকালে তাইজুলকে নিয়ে জাকের প্রথম আধ ঘণ্টা ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন।
তবে এরপর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাকের-তাইজুলের জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন আলজেরি জোসেফ। তাইজুলকে স্লিপে ক্যাচ বানান তিনি। ৫০ বল খেলে তাইজুল কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই করেন ১৪ রান।
আট নম্বরে নেমে মুমিনুল হক একদম সুবিধা করতে পারেননি। কেমার রোচের বলে ভুল ড্রাইভ খেলে স্লিপে শূন্য রানেই ক্যাচ হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর হাসান মাহমুদকে নিয়ে ২৭ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন জাকের, যে জুটিতে হাসানের অবদান মাত্র ৩ রান।
হাসান মাহমুদ (৩) আর তাসকিন আহমেদকেও (০) ফেরান রোচ। কিন্তু জাকের একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আর সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও পারেননি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজেরি জোসেফ আর কেমার রোচ নেন তিনটি করে উইকেট।