জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে শেখ হাসিনার সাথে কোনো পার্থক্য থাকবে না। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি দেশের ৫০ শতভাগ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। দল দু’টিকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাকে জাতিগতভাবে সংঘাতপূর্ণ ও অবিশ্বাস তৈরি করবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময়, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ নিবন্ধিত সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গলাবাজি করে প্রতিবাদ জানানোর কিছু নেই। নিজেদের মত করে তার জবাব দিতে হবে, প্রতিহত করতে হবে।
জিএম কাদের বলেন, সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে শেখ হাসিনার সাথে কোনো পার্থক্য থাকবে না। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি দেশের ৫০ শতভাগ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। দলটিকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাকে জাতিগতভাবে সংঘাতপূর্ণ ও অবিশ্বাস তৈরি করবে।
তিনি বলেন, মাত্র ১৮টি দলকে নিয়ে তারা জাতীয় ঐক্য করেছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল ৫৩টি। ৫০ শতাংশ মানুষকে জাতীয় ঐক্যের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে জাতিগত ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, দেশে একটি সংঘাতময় অবিশ্বাসের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না অন্তবর্তীকালীন সরকার। সেটা উচিতও নয়, কেউ দোষ করলে তার বিচার হওয়া উচিত। আগামী নির্বাচনে অবশ্যই আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়া উচিত।
সভা-সমাবেশের উল্লেখ করে জিএম কাদের করেন, ‘জাতীয় পার্টিকে সাংবিধানিকভাবে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পার্টি অফিসে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেতাদের পাসপোর্ট আটকে দেওয়া হয়েছে।’
গণমাধ্যম নিয়ে এই নেতা বলেন, ‘গণমাধ্যমে চরমভাবে সেল্ফ সেন্সরশিপ চলছে। স্বাধীনভাবে সাংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
আলোচনা সভায়, প্রধান উপদেষ্টা সর্বদলীয় জাতীয় ঐক্যের ডাকের নামে জাতীয় অনৈক্যের সূচনা করেছেন বলে আশঙ্কা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।