নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ইলিয়াসাবাদ ইউনিয়নের বিলদুড়িয়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এসআই আশিকুজ্জামান নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী শনিবার রাত ৮টার দিকে নড়াইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা চৌধুরীর কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ২৭ অক্টোবর অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী অপহৃত হয়। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে একই এলাকার মানিক হোসেনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশিকুজ্জামান বৃহস্পতিবার ঢাকার আশুলিয়া থেকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এরপর এসআই আশিকুজ্জামান ওই ছাত্রীকে কালিয়া থানায় না এনে নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে তাকে এসআই আশিকুজ্জামান তার বাড়িতে রেখে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই আশিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই মারা যাওয়ায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ভুক্তভোগীকে গাড়িতে রেখে জানাজা শেষ করে শুক্রবার কালিয়া থানায় নিয়ে আসি। গাড়িতে নারী পুলিশসহ অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসআই আশিকুজ্জামানকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’