ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেটের চার আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতারের সংবাদটি সঠিক নয়। এটি বাংলাদেশের বেশ মিডিয়ার উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপ-প্রচার বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
ভারতের সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানায়, ডাউকি থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে, ১১৮(১)/৩০৯(৪)/৩১০(২)/৩২৪(৪) বিএনএস এবং ১৪ ফরেন’স এক্টে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ধারার কোনোটিই ধর্ষণ মামলার ধারা নয়।
বিদেশি আইন: ধারা-১৪- এটি ভারতে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধান লঙ্ঘনের শাস্তির সাথে সম্পর্কিত। লঙ্ঘনগুলির মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করা, বৈধ নথি ছাড়া দেশে প্রবেশ করা, অথবা নিবন্ধন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়া অন্তর্ভুক্ত।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ধারাগুলো হলো:
ধারা ১১৮(১) বিএনএস: এটি বিপজ্জনক অস্ত্র বা উপায় দ্বারা স্বেচ্ছায় ক্ষতি করার সাথে সম্পর্কিত।
ধারা ৩০৯(৪) বিএনএস: এটি ডাকাতির শাস্তির সাথে সম্পর্কিত। যদিও উপ-ধারা (৪)-এর সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখানে উল্লেখ করা হয়নি, সাধারণত ডাকাতির মধ্যে চুরি এবং সহিংসতার ব্যবহার বা হুমকি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ধারা ৩১০(২) বিএনএস: এটি ডাকাতির সাথে সম্পর্কিত, যা পাঁচ বা তার বেশি ব্যক্তির মাধ্যমে সংঘটিত ডাকাতি।
ধারা ৩২৪(৪) বিএনএস: এটি ডাকাতি করতে গিয়ে স্বেচ্ছায় ক্ষতি করার সাথে সম্পর্কিত।
স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, ভিসা সংশ্লিষ্ট জটিলতাই মুখ্য। এসব ধারায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকেও গ্রেপ্তার করেছিল ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত রোববার পশ্চিমবঙ্গ থেকে উল্লেখিত ধারায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। পলাতকরা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।