মেট্রোরেলের ২০ হাজার নতুন টিকিট ভারত থেকে প্রিন্ট হয়ে আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট সংকট দূর করতে ৪ লাখ নতুন টিকিট কেনার কাজ করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। জাপান, থাইল্যান্ড ও ভারত যৌথভাবে এসব টিকিট সরবরাহ করে থাকে। টিকিটের মূল জোগানদাতা জাপান। তবে কার্ডগুলো প্রিন্ট হয়ে আসে ভারত থেকে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে ২০ হাজার টিকিট ভারত থেকে প্রিন্ট হয়ে আসবে। বাকি টিকিটগুলো আসবে ধাপে ধাপে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১৬ ডিসেম্বর ২০ হাজার টিকিটের একটি চালান ভারত থেকে রওনা হবে। এগুলো পৌঁছাবে মাসের শেষ দিকে। কার্ডগুলো ট্রেনে আসছে। এজন্য কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সেগুলো আমরা হাতে পাব। পর্যায়ক্রমে আমাদের হাতে সবগুলো কার্ড পৌঁছাবে।

আব্দুর রউফ বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার একক যাত্রার টিকিট হলে সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলে। কিন্তু এই মুহূর্তে আছে ৪০ হাজার কার্ড। তাই সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু কার্ড মানুষ নিয়ে গেছে, কিছু কার্ড টেকনিক্যাল কারণে নষ্ট হয়ে গেছে, কিছু কার্ড গ্রাহকরা হারিয়েছে।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কার্ডের ডিজাইন নিয়েও একটা আলোচনা ছিল। নতুন ডিজাইনের কার্ড থাকছে না। আগের ডিজাইনেই মেট্রো কার্ড হচ্ছে, কালারটার শুধু বদলাচ্ছে। আর একক যাত্রার কার্ডের রং লাল করে দিচ্ছি যেন সহজে আইডেন্টিফাই করা যায়।

ঢাকায় মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিট ইস্যু করা হয়। একটি এমআরটি পাস বা র‍্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকিট। যাত্রী র‍্যাপিড পাস কেনার পর টাকা না ফুরানো পর্যন্ত তা ব্যবহার করতে পারেন, কার্ডটি নিজের কাছে রাখতে পারেন।

একক যাত্রার যাত্রীরা স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কিনে যাত্রা করতে পারেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেই টিকিট ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক।

শেয়ার করুন