ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার জনপদে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। দীঘল গ্রামের পর এবার শুরু হয়েছে সাতগাছী গ্রামে। সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে গান বাজানো হারাম ঘোষণা দেওয়ার পরে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে শুক্রবার ও শনিবার সংঘর্ষ চলে আসছে। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ৩০টি বাড়িঘর। আগুন দেওয়া হয়েছে একটি বাড়িতে।
শুক্রবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ থেমে থেমে শনিবার দুপুর পর্যন্ত চলে। দুই দিনে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীসহ পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে দাবি করেছেন শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাতগাছী গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে গান বাজানোয় শুক্রবার জুমার নামাজে গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাকিম মোল্লা ফতোয়া জারি করেন। এ সময় কাশেম মোল্লা বাধা দেন। এ নিয়ে মসজিদের ভিতরেই দুটি গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ড হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকালে হাকিম মোল্লা ও কাশেম মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
জানা যায়, একপক্ষ জেলা কৃষক দলের (বিএনপির) সভাপতি উসমান সর্মথক। অপর পক্ষ পৌরসভার সাবেক কমিশনার শাহিন ও আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বিএনপিতে যোগদান করা নজরুলের সর্মথক।
ওসি মাসুম খান জানান, দিনভর চলা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হাঁপিয়ে উঠেছেন। তবে সংঘর্ষে লিপ্ত উভয়পক্ষের লোকজন ক্লান্ত হয়নি। তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আটক করা হয়েছে উভয়পক্ষের দুইজনকে। তারা হলো সাগর ও রাজ্জাক।