মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চুয়াডাঙ্গায়, বইছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

মত ও পথ ডেস্ক

শৈত্যপ্রবাহ
ফাইল ছবি

চুয়াডাঙ্গায় আজ শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এর আগে শুক্রবার সকালে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

এরই মধ্যে জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে।

চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপ।

আজ সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ১৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে অন্তত ৫০ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৭০ জন রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই ছিল শিশু। একইভাবে পুরুষ ও নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসতন্ত্রের রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। এ ছাড়া বহির্বিভাগেও রোগীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শীতের কারণে সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ ও রোটা ভাইরাসে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে শিশু রোগীর চাপ বাড়ছে। দিনে গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ জন চিকিৎসা নিচ্ছে।

শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা চলছে বলে জানান শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছা শহর বানু। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কথা হয় আলমডাঙ্গার গড়গড়ি গ্রামের বৃষ্টি খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, তিন মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে গত তিনদিন থেকে হাসপাতালে আছেন তিনি। সন্তানের শারীরিক অবস্থার তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় চিন্তিত তিনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, আক্রান্ত শিশুদের শুধু খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এ ছাড়া অন্য শিশুদের খাওয়ানোর আগে এবং টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর মা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। আর বেশি মাত্রায় ডায়রিয়া হলে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শেয়ার করুন