বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। যিনি সবার কাছে ‘মওলানা ভাসানী’ হিসেবে পরিচিত। এবার তাঁর জীবনী আসছে রূপালি পর্দায়। মওলানা ভাসানীর জীবনী অবলম্বনে ‘ভাসানী’ নামে সিনেমাটি বানাবেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড।
১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের দিকে একটি মিছিলের আয়োজন করেন মওলানা ভাসানী। তাই আগামী বছরের ১৬ মে ছবিটির শুটিং শুরুর প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতা। এখন চলছে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ।
গণমাধ্যমকে ডায়মন্ড বলেন, ‘সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে মওলানা ভাসানী একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর অনেক কীর্তি ও গল্প অজানা নতুন প্রজন্মের কাছে। সেজন্যই সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি, একটি তথ্যবহুল সিনেমা বানাতে পারব।’
তিনি আরও জানান, এখন ঘোষণা দিলেও দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে মওলানা ভাসানীকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন। ২০০৬ সালের দিকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভাসানীকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় নিজের মধ্যে রেখেছিলেন স্বপ্নটা।
কেন এই সময়ে ভাসানীকে নিয়ে সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত- এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর জীবনের ব্যাপ্তি অনেক গভীর। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে আছেন প্রত্যক্ষভাবে। তাকে নিয়ে সিনেমা বানাতে অনেক গবেষণার প্রয়োজন। এ ছাড়া ভাসানীকে নিয়ে সিনেমা বানানোর এখনই মোক্ষম সময়। এত দিন রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে রাখা হয়েছিল তাকে। শঙ্কায় ছিলাম, তাকে নিয়ে সিনেমা বানালে আদৌ সেটি মুক্তি দিতে পারব কি না। কারণ, ইতিহাস বলতে গেলে সত্যটাই তুলে ধরতে হবে। সেই সত্যটা মেনে নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে ভয়ে ছিলাম। এখন সেই শঙ্কা নেই। মওলানা ভাসানীকে আটকে রাখার শক্তি এখন নেই।’
মওলানা ভাসানীর ১৩ বছর বয়স থেকে সিনেমার কাহিনি শুরু হবে। এতে ভাসানী চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনজন অভিনেতা। অবশ্য এখনও কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। অডিশনের মাধ্যমে নিতে চান নতুন মুখ। সব চূড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমার শিল্পীদের নাম জানাবেন নির্মাতা।