ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গোষ্ঠীটি শনিবার নিশ্চিত করেছে, তারা একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তেল আবিবের কাছে মধ্য ইসরাইলের জাফা এলাকায় একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
এদিকে হুতিদের হামলায় ইসরাইল জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছে।
হুথি বাহিনী এই হামলাকে ইসরাইলের হৃৎপিণ্ডে হামলার সঙ্গে তুলনা করেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) আল জাজিরা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করে এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ও বাধা ব্যবস্থা এটিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) আজ শনিবার ভোরে তেল আবিবের জাফা এলাকায় সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। মধ্য ইসরাইল ও এর আশপাশের সমতল ভূমিতে স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে রকেট সাইরেন বেজে ওঠে। সাধারণত সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পূর্বাভাস হিসেবে এই সাইরেন বেজে ওঠে। আইডিএফ জানিয়েছে, এই হামলা ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হয়েছে।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলায় কয়েকজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এছাড়া প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তেল আবিবের একটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে।
এদিকে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, হামলার পরপরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জরুরি বৈঠক ডাকেন।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘দেশের নিরাপত্তার জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নেব। শত্রুরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাকে চ্যালেঞ্জ জানালে তাদের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’ এই রকেট হামলার ঘটনা ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।