যশোরে আত্মসমর্পণকারী আওয়ামী লীগের ১৬৭ নেতা-কর্মীর আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) পুলিশ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক গোলাম কিবরিয়া এই নির্দেশ প্রদান করেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে শহর থেকে জনিকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। পরে তাঁকে বিএনপি কার্যালয় পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সৈয়দ কবীর হোসেন জনি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক।
আদালতের পরিদর্শক রোকসানা খাতুন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে অ্যাডভোকেট জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বিকেলে যশোর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় অফিসের বিভিন্ন মালামাল লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ৭ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ৬৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট এম এ গফুর। এ মামলায় আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, গতকাল যশোরে আত্মসমর্পণকারী আওয়ামী লীগের ১৬৭ নেতা-কর্মীর পক্ষে আদালতে আইনি লড়াইয়ে অংশ নেন জনি। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। এর জেরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
জানতে চাইলে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি দেবব্রত হরি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জনিকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমান সময়ে নানা ধরনের নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।’