ভবনের ষষ্ঠতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত, তদন্ত কমিটি হঠন করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মত ও পথ ডেস্ক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠতলায় আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সচিবালয়ের ওই ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাত ১টা ৫০ মিনিটে ষষ্ঠতলায় আগুন লাগে এবং সকাল ৮টা ৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনা তদন্তে ‘হাই পাওয়ার’ কমিটি গঠন করা হবে। এ বিষয়ে কেবিনেটকে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে।

সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কি না, তদন্ত ছাড়া মন্তব্য করতে রাজি হননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ঘটনাটি নাশকতা কি না, তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

কত সদস্যের কমিটি হতে পারে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেটি এখনই নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। পাঁচ, সাত, নয়, এগারো যে কোনো সংখ্যা হতে পারে।

এ সময় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহতের বিষয়টি উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে আসা শুরু করেন। কিন্তু সচিবালয়ের সমস্ত ফটক বন্ধ থাকায় তাঁরা বিভিন্ন ফটকের সামনে অবস্থান করতে থাকেন। একপর্যায়ে নির্দেশ আসে ৫ নম্বর ফটক দিয়ে প্রবেশ করার। তখন পাঁচ নম্বর ফটকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভিড় উপচে পড়ে।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান ডিজি। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২০টি ইউনিট ও ২১১ জন কর্মী কাজ করেছেন। তবে জায়গার সংকটের কারণে ১০টি ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। এখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কক্ষে কক্ষে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ষষ্ঠ ও সপ্তমতলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।

ডিজি বলেন, আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।

পানির কোনো সংকট ছিল না দাবি করে ডিজি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় লাগলেও এখানে পানির কোনো সংকট ছিল না। পাশেই ওসমানি মিলনায়তন থেকে পানি পেয়েছি। ওয়াসার গাড়ি এসে পানি দিয়ে গেছে। কিন্তু সচিবালয়ের কক্ষগুলো আবদ্ধ ও গ্লাস লাগানো থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।

শেয়ার করুন