সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রেকেই প্রথম এগিয়ে আসতে হবে: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সের্গেই ল্যাভরভ
ফাইল ছবি

সম্পর্ক উন্নয়নে নবনির্বাচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবি প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে রাশিয়া ইচ্ছুক, যদি যুক্তরাষ্ট্রেরও একইরকম আগ্রহ থেকে থাকে। তবে এর জন্য প্রথম এগিয়ে আসার ভার ওয়াশিংটনেরই। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ একথা বলেছেন।

ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তিনি নিজেকে চুক্তি সম্পাদনে দক্ষ কারিগর হিসেবে তুলে ধরে ইউক্রেইন যুদ্ধ দ্রুত অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, কীভাবে এটি করবেন, তা এখনও স্পষ্ট করেননি।

যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আলোচনায় বসতে রাজি করাতে হবে ট্রাম্পকে।

ট্রাম্প মনোনীত ইউক্রেইন-বিষয়ক দূত অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগ অবশ্য গত ১৮ ডিসেম্বরেই ফক্স নিউজকে জানান, উভয় পক্ষ শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে। তার মতে, ট্রাম্প এই যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি করার জন্য একেবারে মোক্ষম অবস্থানে আছেন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ মস্কোয় সাংবাদিকদের বলেন, “ওয়াশিংটন থেকে যে সংকেতগুলো আসছে, তা সংলাপ নতুন করে শুরুর জন্য আন্তরিক হলে আমরা অবশ্যই তাতে সাড়া দেব।” তবে তিনি বলেন, মার্কিনিরাই প্রথম এই সংলাপ বন্ধ করেছিল, তাই তাদেরই প্রথম উদ্যোগ নেওয়া উচিত।”

রাশিয়ার ইউক্রেইন আগ্রাসনের পর পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

২০২২ সালে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মস্কো-পশ্চিমা সম্পর্ককে চরম উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

শেয়ার করুন