ইয়েমেনের রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও হোদেইদাহ শহরে রেড সি বন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এ বিমান হামলা চালানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি পরিচালিত সম্প্রচারমাধ্যম আল মাসিরাহ’র বরাতে এএফপি জানায়, সানার বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি, হোদেইদাহের পাওয়ার প্ল্যান্ট লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
আল মাসিরাহ’র বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বিমানবন্দরে দুইজন এবং রেড সি বন্দরে একজন নিহত হয়েছেন এবং হামলায় আরও ১১ জন আহত হয়েছে।
ইয়েমেনের সাংবাদিক হুসেইন আল-বুখাইতি আল জাজিরাকে বলেছেন, রাজধানী সানার বিমানবন্দরে হামলাটি একটি নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে।
হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
এ প্রসঙ্গে আইডিএফ বলেছে, হুতিরা ইরানের অক্ষের একটি কেন্দ্রীয় অংশ। আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের পথ লক্ষ্য করে তাদের আক্রমণ এ অঞ্চল এবং বিস্তৃত বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে চলেছে। বৃহস্পতিবার চালানো হামলাগুলো ইয়েমেনের হেজিয়াজ এবং রাস কানাতিব পাওয়ার স্টেশনের পাশাপাশি হোদেইদাহ, সালিফ এবং রাস কানাতিব বন্দরের সামরিক অবকাঠামোতে আঘাত করেছে।
হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমাদের সেনাদের হুতি অবকাঠামো ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছি। কারণ, যারা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। ’
এর আগে গত শনিবার গাজায় ‘হত্যাযজ্ঞের’ প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইয়েমেনের হুতিরা। তেল আবিবের একটি পার্কে ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ইসরায়েলে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়। এতে অন্তত ১২ জন ইসরায়েলি আহত হন।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে লক্ষ্য এ ধরনের হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন হুতিরা। ওই ঘটনার পর থেকে পাল্টা জবাব দিতে ইয়েমেনকে লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।