তাবলিগ জামাতের কাকরাইল মসজিদে শবগুজারি (রাত্রিযাপন) কার্যক্রম পরিচালনা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তাবলিগ জামাত সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেছেন, আমরা কাকরাইল মসজিদের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী সরকারের কাছে বৈষম্যবিরোধী সিদ্ধান্ত আশা করছি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে৷ এতে সই করেছেন উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম৷
এতে বলা হয়, মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সা’দ এর অনুসারীরা আগে থেকে জেলা ও উপজেলায় যে সব মসজিদে নিজ নিজ তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিবদমান পক্ষদ্বয় সংশ্লিষ্ট মসজিদে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
তাবলিগ জামাত সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, সারা দেশে জুবায়েরপন্থিরা বিভিন্ন মারকাজ ও মসজিদ দখল, আমাদের সাথীদের আমলে বাধা প্রদান, ভয়াবহ জুলুম, দেশব্যাপী মব জাস্টিস ও ম্যাসাকার চালাচ্ছে। এর মধ্যে আমরা আশা করছি প্রজ্ঞাপনে এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে। প্রশাসন সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে এগিয়ে আসবে এবং আন্তরিক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা তাদের অনুরোধ করবো দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও ধর্মীয় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের পথ থেকে আপনারা ফিরে আসুন। তাবলিগের সঙ্গে এসব বেমানান, ইসলামকে ছোট করবেন না।
তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান আমরা জানাচ্ছি। আমরা উভয়পক্ষ ও সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বসে ধর্মীয় এই সংঘাত বন্ধে বরাবরের মতোই সমাধানে পৌঁছাতে আগ্রহী। পাশাপাশি তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হওয়া তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি শায়খুল হাদিস মাওলানা জিয়া বিন কাসেম ও মুফতী মুআজ বিন নূরের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।