প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক এই চিনাবাদাম চাষি প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ এড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষমা করেছিলেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, জিমি মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি সম্পাদনে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু ইরানের জিম্মি সংকট এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের মোকাবিলায় খাবি খেয়েছেন। প্রথম মেয়াদ পূর্ণ করার পর ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন তিনি।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর কার্টার বিশ্বজুড়ে শান্তি, পরিবেশ এবং মানবাধিকার নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাঁর এই পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁর ১০০ তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন। তিনি দীর্ঘ সময় ক্যানসারের চিকিৎসাও নিয়েছিলেন এবং জীবনের শেষ ১৯ মাস হসপিস কেয়ারে কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন >> সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার আর নেই
জেমস আর্ল কার্টার জুনিয়র ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জর্জিয়ার শহর প্লেইনসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাঁর বাবা পারিবারিক চিনাবাদামের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং মা লিলিয়ান ছিলেন নিবন্ধিত নার্স। ১৯৩০—এর দশকে মহামন্দার অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ় ধর্মবিশ্বাস তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছিল।
উচ্চ বিদ্যালয়ে তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন কার্টার। এরপর তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে সাত বছর কাজ করেন। সেসময়ই তিনি তাঁর বোনের বন্ধু রোজালিনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সাবমেরিন অফিসার হন। তবে ১৯৫৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর কার্টার বাদাম চাষে নামেন। প্রথম বছরের ফসল খরার কারণে নষ্ট হয়েছিল। তবে তারপরও কার্টার ব্যবসা চাঙা করেন এবং ক্রমেই সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। তিনি স্থানীয় স্কুল ও গ্রন্থাগারের পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। এর কয়েক বছর পর জর্জিয়া সিনেটে সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট স্কুলে বর্ণবৈষম্য বিলুপ্ত করার রায় দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য থেকে ওঠে আসা কৃষক হিসেবে কার্টারের এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করার কথা ছিল—কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। জর্জিয়া সিনেটে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেছিলেন, যদিও তাঁর বাবা বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ছিলেন। এমনকি তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিল।
এরপর ১৯৭০ সালে জর্জিয়ার গভর্নর হন জিমি। এর পর তিনি নাগরিকদের আরও অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে শুরু করেন। গভর্নর হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সৎভাবে বলছি। বর্ণবৈষম্যের সময় শেষ।’ তাঁর মেয়াদে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে মার্টিন লুথার কিংয়ের ছবি আঁকিয়েছিলেন।
গভর্নর হিসেবে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, আফ্রিকান-আমেরিকানদের সরকারি কাজে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবে, গর্ভপাত আইন নিয়ে তাঁর উদার মনোভাব এবং তাঁর দৃঢ় খ্রিষ্টান বিশ্বাসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন ছিল। তিনি নারীদের গর্ভপাতের অধিকার সমর্থন করলেও তিনি এটির জন্য তহবিল বাড়াতে অস্বীকৃতি জানান।
জিমি কার্টার ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার জন্য প্রচারণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্র তখনো ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। প্রচারণায় তিনি নিজেকে এক চিনাবাদাম চাষি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি ক্যাপিটল হিলের পেশাদার রাজনীতিবিদদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তাঁর সময়োপযোগী প্রচারণা কাজ করে। আমেরিকানরা একজন নবাগত নেতা চেয়েছিল এবং কার্টার সেই চাহিদা পূরণ করেছিলেন। নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর প্রথমদিকে, জনমত জরিপে দেখা গিয়েছিল যে, তিনি মাত্র ৪ শতাংশ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাবেন। কিন্তু ৯ মাস পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করেন।
ক্ষমতায় প্রথম দিনেই তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগদানের নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়া কয়েক লাখ পুরুষকে ক্ষমা করেন। সে সময়কার রিপাবলিকান সিনেটর ব্যারি গোল্ডওয়াটার এই সিদ্ধান্তকে ‘কোনো প্রেসিডেন্টের নেওয়া সবচেয়ে লজ্জাজনক কাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কার্টার স্বীকার করেছিলেন, এটি তাঁর দায়িত্ব পালনকালে নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।
কার্টার তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের নিয়োগ দেন এবং রোজালিনকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করেন। তিনি মার্কিন সংবিধানে একটি সমান অধিকার সংশোধনী আনার চেষ্টা করেছিলেন। যেটি লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা প্রতিশ্রুতি দিত।
জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক নেতাদের একজন হিসেবে কার্টার হোয়াইট হাউসে জিন্স ও সোয়েটার পরতেন এবং শক্তি সংরক্ষণের জন্য হিটার বন্ধ রাখতেন। তিনি হোয়াইট হাউস ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করেন—যা পরে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান সরিয়ে ফেলেন—এবং আলাস্কার অনাবাদি জমি রক্ষার জন্য আইন পাশ করেন।
আমেরিকার অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে থাকলে কার্টারের জনপ্রিয়তা পড়তে শুরু করে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ—যার মধ্যে গ্যাসোলিন রেশনিংও ছিল—গ্রহণ করতে দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু কংগ্রেসে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও পার্লামেন্টে ব্যর্থ হয়। বেকারত্ব ও সুদের হার দুটোই আকাশচুম্বী হয়ে যায়।
মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে তাঁর শুরুটা ছিল বিজয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৮ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু বিদেশে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ইরানে বিপ্লব এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন ছিল কঠিন পরীক্ষা।
কার্টার তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তেহরানে জিম্মি মার্কিনিদের উদ্ধারে বলপ্রয়োগের চেষ্টা বিপর্যয়ে পরিণত হয়। এতে আট মার্কিন সেনা নিহত হন। এই ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে শেষ করে দেয়। এরপর ১৯৮০ সালের নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডিকে পরাস্ত করেন কার্টার এবং পরবর্তী নির্বাচনে ৪১ শতাংশ পপুলার ভোট পান। কিন্তু এটি রোনাল্ড রিগ্যানকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সাবেক এই অভিনেতা ইলেকটোরাল কলেজে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন।
প্রেসিডেন্সির শেষ দিনে কার্টার ইরান থেকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সফল আলোচনার ঘোষণা দেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জিম্মি মুক্তি দেখে যেতে পারেননি। দায়িত্ব ছাড়ার সময় কার্টারের জনপ্রিয়তা ছিল আমেরিকার যেকোনো প্রেসিডেন্টের মধ্যে সবচেয়ে কম। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি তাঁর সুনাম পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালান।
মার্কিন সরকারের পক্ষে তিনি উত্তর কোরিয়ায় শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেন—যা শেষ পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র ভেঙে ফেলার জন্য একটি প্রাথমিক চুক্তি ‘অ্যাগ্রিড ফ্রেমওয়ার্কের’ দিকে নিয়ে যায়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরি ‘কার্টার প্রেসিডেনশিয়াল সেন্টার’ আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান এবং সংকট মোকাবিলায় ধারণা ও প্রোগ্রামগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
জিমি কার্টার ২০০২ সালে তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে—থিয়োডর রুজভেল্ট এবং উড্রো উইলসনের পর—নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তবে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর প্রেসিডেন্সির পরের কাজের জন্য এই সম্মান পান। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে একত্রে ‘দ্য এল্ডারস’ নামে একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী শান্তি এবং মানবাধিকারের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০০২ সালে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার সময়—তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এটি পান—তিনি বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে গুরুতর এবং সর্বজনীন সমস্যা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং দরিদ্র মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকা ফারাক।’
দায়িত্ব থেকে অবসরের পর কার্টার একটি সাধারণ জীবনধারা বেছে নেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের আসন তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে চলেছেন এবং জর্জিয়ার প্লেইনসে স্ত্রী রোজালিনের সঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। জিমি কার্টার ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এতে কিছু ভুল দেখি না; যারা এটি করে তাদের দোষারোপ করি না। কিন্তু কখনই আমার ধনবান হওয়ার ইচ্ছা ছিল না।’
জিমি কার্টারই ছিলেন একমাত্র আধুনিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি রাজনীতিতে প্রবেশের আগে যে বাড়িতে বাস করতেন দায়িত্ব ছাড়ার পর সেখানেই ফিরে যান। তাঁর এই বাড়িটি ছিল একটি একতলা ও দুই শয়নকক্ষের বাড়ি। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, কার্টারদের বাড়ির মূল্য ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ডলার। যা তাদের রক্ষা করার জন্য বাইরে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের গাড়ির মূল্যের চেয়েও কম।
জিমি কার্টার ২০১৫ সালে জানান, তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগেই তাঁর বাবা-মা এবং তিন বোন মারা গিয়েছিলেন। সে বছরই কোমর ভাঙার অপারেশনের কয়েক মাস পর তিনি আবার হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটির স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজে ফেরেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী ১৯৮৪ সালে দাতব্য সংস্থাটির সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং বছরের পর বছর ৪ হাজারের বেশি বাড়ি মেরামত করতে সাহায্য করেন।
তিনি প্লেইনসের মারানাথা ব্যাপটিস্ট চার্চের একটি সানডে স্কুলে পড়াতেও থাকেন। কখনো কখনো তিনি ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের তাঁর ক্লাসে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে রোজালিন কার্টার মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘৭৭ বছরের বিবাহিত জীবনের আমার স্ত্রী আমার করা প্রতিটি কাজের সমান অংশীদার ছিলেন।’
চলতি বছর নিজের জন্ম শতবর্ষ উদ্যাপনকালে কার্টার প্রমাণ করেন যে, তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা এখনো প্রখর। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুধু নভেম্বরের নির্বাচনে কামলা হ্যারিসের জন্য ভোট দিতে চাই।’ তিনি সত্যিই ভোট দিতে পেরেছিলেন। তবে তাঁর রাজ্য জর্জিয়া শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেয়।
কার্টারের আজীবন জনসেবার চালিকাশক্তি ছিল, তাঁর গভীর ধর্মবিশ্বাস। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জনসেবাকে আলাদা করতে পারবেন না। আমি কখনোই ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং আমার রাজনৈতিক কর্তব্যের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব অনুভব করিনি। যদি আপনি একটিকে লঙ্ঘন করেন, তবে অন্যটিকেও লঙ্ঘন করবেন।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি