বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বসানোর প্রস্তাব উঠেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ইসি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এই প্রস্তাব দেন।
সোমবার সাজ্জাত আলী বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সংস্কার ইস্যুতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতনদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেখানে প্রস্তাব দিয়েছি পুলিশের আইজিপি পদমর্যাদার (সাবেক অথবা বর্তমান) একজন কর্মকর্তাকে ইসিতে বসাতে হবে। সারাবছর যতগুলো নির্বাচন হবে তা তিনি দেখভাল করবেন। তাহলে দিনের ভোট আর রাতে হবে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। এগুলো বন্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে ইসিকে প্রস্তাবনা দেওয়া হলো। অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কয়েকটি নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহার করে। সেসময় পুলিশ কর্মকর্তারা বলতেন- আমরা তো দিনের ভোট রাতে করে দিই। না হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারত না।
ইসির ওই সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিএমপি কমিশনার বৈঠকে বলেন: নির্বাচনে পুলিশের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে। একইসঙ্গে আনসার, বিজিবি, সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকেন; তাদের কর্মকাণ্ড তদারকির ব্যাপার রয়েছে। ২০১৮ সালে যেভাবে রাতে ভোট হলো তা কেউ টের পেল না। ইসিতে পুলিশের কেউ দায়িত্বে থাকলে বুঝতে পারত মাঠে কী ধরনের কর্মকাণ্ড হয়েছে। কারণ, ইসি স্বতস্ত্র প্রতিষ্ঠান।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। পুলিশের আইজিপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বসালে এটার স্বচ্ছতা থাকবে। কারণ তিনি জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের ধরতে পারবেন কোথায় কত টাকা বরাদ্দ, কত টাকা খরচ করা হয়েছে। এগুলো আইজিপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা বুঝবেন কারণ তিনি জেলায় চাকরি করে এসেছেন। তাছাড়া ভোটের আগের দিন রাতে ব্যালট বাক্স ভরার বিষয় থাকবে না।