একে অন্যকে পাগলের মতো ভালোবাসতেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং শ্রীদেবী! বিষয়টা নিয়ে একটা সময় দারুণ চর্চা হয়েছিল। নানা খবরও রটেছিল। কিন্তু টেকেনি দুই তারকার সম্পর্ক।
যে যার নিজের পথে এগিয়ে গেছেন জীবনে। তবুও তাদের নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এত বছর পর তাদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সুজাতা মেহতা। জানালেন, বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী।
হিন্দি রাশ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী সুজাতা মেহতা কথা বললেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং শ্রীদেবীর সেই চর্চিত প্রেম নিয়ে।
কানাঘুষো শোনা যায়, মিঠুন এবং শ্রীদেবীর নাকি বিয়েও হয়েছিল। যদিও সুজাতা নিজে কখনও এই বিষয়ে প্রয়াত অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করেননি বলেই জানান এদিন।
কেন জিজ্ঞেস করেননি, সেটাও খোলাসা করেছেন সাক্ষাৎকারে। সুজাতা জানান, ‘শ্রীদেবী ওই সময় মানসিকভাবে খুব ডিস্টার্বড ছিলেন। তবে কাজের জায়গাটা ঠিক রেখেছিলেন।’
বিচ্ছেদের পরও কাজ, শ্যুটিংয়ে ফোকাস টিকিয়ে রেখেছিলেন শ্রীদেবী, আর এমন ভাব দেখাতেন যেন মিঠুন নামের কেউ কোনদিন ছিলই না। সুজাতা জানান, শ্যুটিংয়ের পর এক কোনায় গিয়ে চুপচাপ বসে থাকতেন অভিনেত্রী।
তার কথায়, ‘এটা বলতে পারি ওই বিচ্ছেদ শ্রীকে একেবারে যেন ভেঙে দিয়েছিল। আমার মনে হয়, ওরা একে অন্যকে পাগলের মতো ভালোবাসত। অনেকেই বলেন, ওরা নাকি বিয়েও করেছিল।’
১৯৮০ এর দশকের শেষ দিকে তাদের প্রেমের গুঞ্জন রটে। সেই সময় শ্রীদেবী তার ক্যারিয়ারের সফলতম স্থানে অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে মিঠুন ততদিনে বিবাহিত। তার সঙ্গে যোগিতা বালির বিয়ে হয়েছিল।
এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো, যোগিতাকে বিয়ে করার আগে হেলেনা লিউককে বিয়ে করেছিলেন মিঠুন। তখনই খবর রটে, মিঠুন নাকি প্রেম করছেন শ্রীদেবীর সঙ্গে। যদিও এই বিষয়ে কখনই তারা খোলসা করেননি কিছু। বরং এড়িয়ে গেছেন সকল গুঞ্জনকে।
১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চুপিসারে চলেছিল মিঠুন এবং শ্রীদেবীর এই প্রেম। শ্রীদেবী এবং মিঠুনের প্রেমের কথা জানতে পেরেই নাকি যোগিতা আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। এরপর শ্রীদেবীও বোঝেন যে যোগিতা বালিকে ডিভোর্স দেবেন না মিঠুন।
এরপর ১৯৮৭ সালে বনি কাপুর শ্রীদেবীর জীবনে আসেন। প্রথমে পরিচালকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও একটা সময় তার গলাতেই মালা দেন অভিনেত্রী। শ্রীদেবী ও বনি বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়।