জানুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তিন থেকে পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে শীত বাড়বে এবং তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এই তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দু-একটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে দু-তিনটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ১০ জানুয়ারির কাছাকাছি সময়ে দেশে শৈত্যপ্রবাহ আসার আশঙ্কা বেশি। ৮ ও ৯ জানুয়ারি দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। ৯ বা ১০ জানুয়ারি দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, চলতি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব, পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশা পরিস্থিতি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
কুয়াশা ও বাতাস বাড়িয়েছে শীত, কমবে শনিবার থেকে : আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কুয়াশার কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো আসতে পারছে না। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এসেছে। সঙ্গে রয়েছে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাস। সব মিলিয়ে বেড়েছে শীতের অনুভূতি।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘কুয়াশার জন্য সূর্যের আলো না আসার কারণে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বাড়তে পারছে না।
এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এসেছে। ফলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা না কমলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি বেড়েছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে আজ, পরিবর্তন নেই রাতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে আজ বৃহস্পতিবার। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে রাতের তাপমাত্রা। তবে আগামীকাল দিন ও রাতের তাপমাত্রা উভয়ই কিছুটা বাড়তে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।