কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বন্দুকযুদ্ধে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড। এ ছাড়া, ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন।
আজ শনিবার ভোরে শাহপরী দ্বীপের কাছে নাফ নদীর মোহনায় গোলার চর এলাকায় চোরাকারবারি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত জামাল উদ্দিন (৩৫) একটি চোরাচালান চক্রের সদস্য। এ ছাড়া, ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
‘মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের টহল দল বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের সময় একটি নৌকাকে থামার সংকেত দেয়। নৌকাটি সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে কক্সবাজারের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। কোস্টগার্ড সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে ট্রলার থেকে চোরাকারবারিরাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে।’
তিনি আরও বলেন, কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলার থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ট্রলার থেকে ১৬ ডাকাত ও মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। এ ছাড়া, তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
এই কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারিরা স্বীকার করেছেন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বিপুল পরিমাণ মাদক নাফ নদীতে ফেলে দিয়েছেন। সেই মাদক উদ্ধারে অভিযান চলছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির মরদেহ কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।