অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের মধ্যভাগ। তবে, নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে জনগণ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর।
আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে ছিল ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি ও ভুয়া স্পিকার। দেশের জনগণ এখন তাদের কণ্ঠ ফিরে পেয়েছে। তাদের কণ্ঠ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি ড. রূপা হক শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাতে এলে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সাক্ষাতে রূপা হক আগামী নির্বাচনের আনুমানিক সময়সূচি, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ ও রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে এ কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ব্রিটিশ এমপিকে প্রধান উপদেষ্টা, নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে জনগণ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর
রূপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখন অধ্যাপক ইউনূস তাকে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জনগণের ওপর চালানো দমন-পীড়নের কথা তুলে ধরেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রূপা হক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লতিফ সিদ্দিকী, বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী এবং এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউকে বিসিসিআই) একটি প্রতিনিধিদল তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে রয়েছেন। এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউকে বিসিসিআই চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই এবং ইউকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এম জি মৌলা মিয়া।
সিদ্দিকী যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী, বিশেষ করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ব্যাপক সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে।’