আলিয়া মাদরাসার অস্থায়ী আদালতে আগুন, সড়ক অবরোধ

মত ও পথ ডেস্ক

আলিয়া মাদরাসার অস্থায়ী আদালতে আগুন। সংগৃহীত ছবি

রাজধানী বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের একটি কক্ষে আগুন দেওয়া হয়েছে। মাদরাসার বাইরে একটি গাড়ি অবস্থান করলেও প্রধান দুটি ফটক তালাবদ্ধ থাকায় কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে অন্ধকারে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি চকবাজার থানা পুলিশের।

বিচারকাজ বন্ধ করে আলিয়ার মাঠ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবিতে পুলিশের উপস্থিতিতে এখন সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনবাহিনীর একটি দল।

অন্যদিকে, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের আগুনে পুড়ে যাওয়া কক্ষ পরিদর্শন করেছেন বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচারক। তিনি বলেন, এখানে বর্তমানে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। পরবর্তী দিন ও স্থান পরে জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই অস্থায়ী আদালতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে তা আর হচ্ছে না।

তারা জানান, পরিদর্শন শেষে বিচারক আজকের মতো আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেছেন।

আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদরাসার ভেতরে বিচারকাজ চলমান থাকলে শিক্ষাকার্যক্রম বিঘ্ন হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও কর্ণপাত করেনি তারা। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আজ সড়ক অবরোধ করেছে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতভর আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার সকালে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, পুলিশ আলিয়া মাদরাসার ভেতরে অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এর মধ্যেই বাইরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। শিক্ষার্থীদের দাবি এখানকার আদালত স্থানান্তর ও আলিয়া মাদরাসার মাঠ উন্মুক্ত করার দাবি।

ওসি বলেন, আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণ তো অনেক বড় দুটি গেট তালাবদ্ধ ছিল। বাইরে ছিল ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি। ভোরে অন্ধকারের মধ্যে কে বা কারা আদালতের একটি কক্ষে আগুন দেয়। এতে কিছু কাগজপত্র আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

কারা কাজটি করেছে সেটি জানা যায়নি। যদিও এর আগে গত ৫ আগস্টেই এই মাদরাসায় স্থাপিত আদালত প্রায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি ওসির।

ওসি রেজাউল আরও বলেন, ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত রয়েছে, সেনাবাহিনীও রয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিচারকাজ শুরুর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেখানে অবস্থিত অস্থায়ী আদালতে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবি-আলিয়া মাদরাসার মাঠ শিক্ষার্থীদের। কারা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে মাঠটি দখল করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে আদালত পরিচালনা করছে। তারা মাঠ দখলমুক্ত করতে চান।

শেয়ার করুন