রাখাইনের জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ৪০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ৪০ জনের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) এই রাজ্যের রামরি টাউনশিপে আরাকান আর্মি (এএ) নিয়ন্ত্রিত একটি গ্রামে এ হামলা চালানো হয়।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০ জন বাসিন্দা আহত হয়েছে। গ্রামের প্রায় ৫০০ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বোমা হামলার ফলে সৃষ্ট আগুন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শত শত বাড়িঘরে আগুন ধরে যায়।

স্থানীয় এলাকা কিয়াকনিমাওয়ের এক বাসিন্দা বৃহস্পতিবার ইরাবতিকে বলেন, আমি আজ শুনেছি, নিহতের চেয়ে আহতের সংখ্যা বেশি। চিকিৎসা অপ্রতুল, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আরাকান আর্মি গত বছরের ১১ মার্চ মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলের একটি দ্বীপ রামরি টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ দখল করে। এরপর থেকে যুদ্ধ না থাকা সত্ত্বেও ওই অঞ্চলে ঘন ঘন বিমান হামলা চালাচ্ছে জান্তা সরকার।

আরাকান আর্মি এখন পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টি দখল করতে পেরেছে। শুধু রাজ্যের রাজধানী সিত্তে, মুনাউং দ্বীপের মুনাউং টাউনশিপ এবং রামরি দ্বীপের উত্তর প্রান্তে কিয়াউকফিউ টাউনশিপ শাসকগোষ্ঠীর হাতে রয়েছে। কিয়াউকফিউ শহরটি চীন-মিয়ানমার পাইপলাইন পয়েন্ট, যেখান দিয়ে ইউনান প্রদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস বহন করা হয়।

আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কিয়াউকনিমাওতে বোমা হামলা চালানো হয়। তিনি এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে বলেন, রামরিতে যুদ্ধ না হওয়া সত্ত্বেও এই হামলা চালানো হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী বিমান হামলা ‘ডাহা যুদ্ধাপরাধ’।

শেয়ার করুন