জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ ৩ দফা দাবিতে অনশন প্রত্যাহার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি মেনে নিতে সম্মত হওয়ায় প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর সোমবার সন্ধ্যা ৭টার পর অনশন প্রত্যাহার করেন তারা। তবে তারা বুধবার পর্যন্ত ক্যাম্পাস শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
সচিবালয়ের সামনে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, তিনটি দাবির মধ্যে দুটি মেনে নেওয়া হয়েছে। বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভায় প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হবে বলে আশ্বাস এসেছে। তাই অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক নোটিশে জানায়, আগামী বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা হবে। ওই সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ছাড়াও প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, আবাসন সমস্যা নিরসন নিয়ে আলোচনা হবে।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে অনশন শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ও অনশন পালন করেন তারা। পরে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সচিবালয়ের দিকে যাত্রা করেন তারা। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে সচিবালয়ের সামনে পৌঁছানোর পর তারা অনশনের ঘোষণা দেন।
জবি শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো—
সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়াল ভাবে সকলের সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। এবং যত দিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয় তত দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।