সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে স্কুলছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা ফকিরের (৪৫) নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
শিশুটির বাবা সোমবার সন্ধ্যায় মামলাটি করেন বলে জানান বেলকুচি থানার ওসি জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, শিশুটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে।
এর আগে রোববার রাতে একই কারণে উপজেলা বিএনপি জুয়েল রানাকে শোকজ করে।
শোকজ পত্রে বলা হয়েছে, ফকির মো. জুয়েল রানার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠছে। যা রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হয়ে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পত্রে বলা হয়েছে।
চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা বলেন, “বিষয়টি জানার পরই ফকির মো. জুয়েল রানাকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে দলের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল রানা বলেন, “আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।”
পূর্ব পরিচয়ে শনিবার রাতে উপজেলা সদরের চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় ডেকে নিয়ে বিএনপি নেতা ফকির মো. জুয়েল রানা ওই শিশুটিকে জোর করে বলাৎকার করেছেন বলে বাড়িতে ফিরে গিয়ে পরিবারের কাছে জানায় শিশুটি। এরপর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের শিকার ১৩ বছর বয়সি ওই শিশু স্থানীয় এক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।