বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে সেটি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
সফরে আসা জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলকে নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গোয়েন লুইস।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চান না। নির্বাচন কবে হবে সেটি সরকার ও দলগুলোই ঠিক করবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কারিগরি সহযোগিতা দিতে জাতিসংঘ আগ্রহী জানিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। তাদের চাহিদা অনুয়ায়ী আমরা সহযোগিতা দেবো। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রয়োজনীয়তা সমীক্ষা প্রতিনিধিদল কাজ করবে।’
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করছে বিএনপি। নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রায় আহ্বান জানাচ্ছে দলটি।
সবশেষ মঙ্গলবারও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। বিএনপি বলছে, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আর দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান চায় দলটি।