ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক একটি ইতিবাচক পথে নিয়ে যেতে চায়। তিনি বলেন, আমরা চাই, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের জন্য ভালো হোক।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জয়সওয়াল।
এ সময় তিনি দুই দেশের সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও নয়াদিল্লিতে ঢাকার রাষ্ট্রদূতকে তলব করার বিষয়ে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
জয়সওয়াল বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার করেছি। আমরা ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেছি এবং সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমি বাংলাদেশের কাছে উত্থাপিত কিছু পয়েন্ট বলতে চাই।
তিনি বলেন, আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, চোরাচালান ও পাচার রোধে সীমান্ত সুরক্ষার লক্ষ্যে কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্তে আলো স্থাপন, প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করছি, এ ধরনের অপরাধ দমনে সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে আগের সব সমঝোতা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ।
জয়সওয়াল বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান বেশ কয়েকবার স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব (ঢাকা) সফর করেছেন। যেখানে আমরা বলেছিলাম, ইতিবাচক সম্পর্ক চাই, ইতিবাচক পথে এগোতে চাই। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ফেডারেল সম্পর্ক চাই। আমরা চাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণ ও ভারতের জনগণের জন্য ভালো হোক। সুতরাং এটাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং এটি রয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করা হয়। ভারত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছিল, নয়াদিল্লি বেড়া দেওয়ার সময়সহ সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে সমস্ত প্রোটোকল এবং চুক্তি অনুসরণ করেছে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করার একদিন পর বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সাম্প্রতিক কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং আপত্তি জানায়।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রতিবাদ জানালে নির্মাণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।